Category Archives: হাসির ভান্ডার

আমার লেখা এবং অনুবাদ করা বিভিন্ন মজার মজার কৌতুক, হাস্যকর ঘটনা এবং সংবাদ

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের প্রেম


এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভদ্রলোক আর তার প্রেমিকা বিকেলে বেড়াতে বের হয়েছে। প্রেমিকার মন খারাপ, কারণ তার প্রেমিক তার সাথে ঘুরতে বের হলে কখনোই তার রূপের প্রশংসা করে না। এমনকি, সে কি পরে এসেছে, কিভাবে সেজে এসেছে, সেদিকেও ভালো করে তাকায় না। আশেপাশের সুন্দর সুন্দর স্ট্রাকচারগুলোর দিকে চেয়ে চেয়েই তার সময় কেটে যায়।

তো এই বিশেষ দিনে ভদ্রলোক তার স্বভাবের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রেমিকার হাত ধরে বলল, দেখ কী সুন্দর আবহাওয়া! না গরম, না ঠান্ডা।

প্রেমিকার মন খুশিতে নেচে উঠল। এই প্রথম বুঝি তার প্রেমিক তার সাথে দুই একটা রোমান্টিক গলায় কথা বলবে! সে আগ্রহ নিয়ে প্রেমিকের মুখের দিকে তাকাল।

ইঞ্জিনিয়ার প্রেমিক তার কথা কন্টিনিউ করে যেতে লাগল, আবহাওয়াটা আসলেই চমত্‍কার! রোদও নেই, বৃষ্টিও নেই। কিছুটা মেঘলা … প্রেমিকা পরের বাক্যটা শোনার জন্য উত্‍সুক নয়নে তার প্রেমিকের দিকে তাকাল। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভদ্রলোক তার বাক্যটা শেষ করল – ওয়েদারটা কংক্রীট কাস্টিংয়ের জন্য একেবারে পারফেক্ট 🙂

প্রথম লেখা: ১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ফেসবুকে

নির্বাচন বিষয়ক একটি মিসরীয় কৌতুক


নির্বাচন উপলক্ষে এক মিসরী ইঞ্জিনিয়ারের কাছ থেকে শোনা একটা মিসরী কৌতুক মনে পড়ল। হুসনে মোবারকের সময়ের ঘটনা। এক লোক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে মোবারককে ভোট না দিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে এল। ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরে বন্ধুদের সাথে গল্প করার সময় যখন সে বলল যে সে মোবারককে দেয় নি, বন্ধুদের তো মাথায় হাত – বলিস কি? করেছিস কি তুই? এন্তা মাগনুন? 🙂 অর্থাত্‍ তুই কি পাগল? তাড়াতাড়ি যা, সময় থাকতে এখনও আবেদন করে ভোটটা পরিবর্তন করে দিয়ে আয়, তা না হলে তোর পেছনে গোয়েন্দা বিভাগের লোক লেগে থাকবে।

Continue reading নির্বাচন বিষয়ক একটি মিসরীয় কৌতুক

একটি দায়েশীয় কৌতুক


একটি দায়েশ (আইএস) বিষয়ক কৌতুক। লিবিয়ান একটা গ্রুপে পেলাম।

আইএস তিনজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। একজন মিসরী, একজন সুদানী এবং একজন লিবিয়ান।

প্রথমেই তারা মিসরীকে তার নাম জিজ্ঞেস করল। মিসরী উত্তর দিল, ইয়াসিন। আইএস এবার তাকে সূরা ইয়াসিন মুখস্ত বলতে বলল। বেচারা বলতে পারল না। সাথে সাথে আইএস তাকে জবাই করে হত্যা করল।

এরপর তারা সুদানীকে তার নাম জিজ্ঞেস করল। সুদানীর নাম ইউসুফ। যথারীতি তাকেও সূরা ইউসুফ বলতে বলা হল। না পারায় তাকেও জবাই করে হত্যা করা হল।

এবার তারা ফিরল লিবিয়ানের দিকে। কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই লিবিয়ানটা ঝটপট বলে উঠল, ভাই আমার নাম কাওসার 🙂

প্রথম লেখা: ৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ফেসবুকে