Tag Archives: আইএস

আমেরিকা যেভাবে আইএসকে অস্ত্র সাপ্লাই দেয়


আল-জাজিরার এই ডকুমেন্টারিটা খুবই ইন্টারেস্টিং। কেন, সেটা ব্যাখ্যা করছি। তবে এটা দেখলে আবারও বুঝতে পারবেন কেন আমি হাবিজাবি ভিত্তিহীন প্রপাগান্ডা সাইটের কন্সপিরেসী থিওরীর চেয়ে প্রতিষ্ঠিত মিডিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ আর্টিকেল/ডকুমেন্টারি বেশি পছন্দ করি।

প্রচলিত ফেক নিউজের মতো এই ডকুমেন্টারিতে আইএসের কাছে অমুক অস্ত্র পাওয়া গেছে বলেই খালাস হয়নি, সেটা ট্রেস করে বের করা হয়েছে কোথা থেকে কীভাবে এসেছে। কিন্তু তারপরেও ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু তথ্য বিকৃতি করা হয়েছে। কয়েকটা পয়েন্ট উল্লেখ করছি।

Continue reading আমেরিকা যেভাবে আইএসকে অস্ত্র সাপ্লাই দেয়

হামাসের বিরুদ্ধে আইএসের যুদ্ধ: আসলে খারাপ হয়েছে, না ভালো?


আইএস হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে  এক দিক থেকে চিন্তা করলে ব্যাপারটা ভালোই হয়েছে। কেন? লেট মি এক্সপ্লেইন।

অধিকাংশ দেশে আইএসের অপারেশনগুলোর ফলাফলগুলো কী হয়? তারা হামলা করে, দায় স্বীকার করে, সরকার/আমেরিকা পাল্টা অভিযান চালায়, মানুষের ধারণা পাকাপোক্ত হয় আমেরিকাই অভিযান চালানোর অযুহাত তৈরির জন্য আইএসকে দিয়ে হামলা করাচ্ছে।

Continue reading হামাসের বিরুদ্ধে আইএসের যুদ্ধ: আসলে খারাপ হয়েছে, না ভালো?

‘লিবিয়ার শতবর্ষের নির্জনতা’ : মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহার সাক্ষাৎকার


ইরফানুর রহমান রাফিন একজন জনপ্রিয় ব্লগার। সম্প্রতি তিনি নিজের ব্লগে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎ প্রকাশ করা শুরু করেছেন। প্রথম সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন জনপ্রিয় রাজনৈতিক সমালোচক অনুপম দেবাশীষ রয়ের। আর দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারটি ছিল আমার।

এই সাক্ষাৎকারে লিবিয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, গাদ্দাফীর উত্থান, তার শাসণামলের ভালোমন্দ দিকগুলো, ২০১১ সালের বিদ্রোহের সূচনা, দেশী-বিদেশী শক্তির প্রভাব, বিদ্রোহ পরবর্তী লিবিয়ার রাজনীতি, আল-ক্বায়েদা-আইসিসের উত্থান, তাদের ক্ষমতার উৎস, লিবিয়ার ভবিষ্যৎ সহ অনেক কিছু উঠে এসেছে।

মূল সাক্ষাৎকারটি পড়তে পারেন এই লিংক থেকে

Continue reading ‘লিবিয়ার শতবর্ষের নির্জনতা’ : মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহার সাক্ষাৎকার

লিবিয়ার বিজ্ঞানসম্মত যুদ্ধ


লিবিয়ার যুদ্ধ সম্ভবত খুবই বিজ্ঞানসম্মত যুদ্ধ। এই যুদ্ধ একেবারে নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র মেনে চলে – প্রত্যেক বাহিনীরই একটা সমান ও বিপরীত বাহিনী আছে 

২০১১ সালে সিরতে গাদ্দাফী বাহিনী খুবই শক্তিশালী ছিল। তাই তাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য শুধু মিসরাতা থেকেই ছয় হাজার যোদ্ধা সিরতে গিয়েছিল। আর বেনগাজীসহ মোট যোদ্ধা ছিল ১৪ হাজার। কিন্তু এবার সিরতে আইএস এর সদস্য সংখ্যা প্রকাশ্যে খুবই কম। সর্বোচ্চ ২০০ হবে। আর আশ্চর্যজনকভাবে তাদেরকে দমন করার জন্য আসা মিসরাতীদের সংখ্যাও কম। সিরতের পশ্চিমে সব মিলিয়ে ৪০-৫০টা গাড়ি দেখলাম সিরত থেকে বের হওয়ার সময়।

Continue reading লিবিয়ার বিজ্ঞানসম্মত যুদ্ধ

আইএসের শহরে জীবন যাপন


সিরতে আইএস এর সাথে মিসরাতী মিলিশিয়াদের সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। সকালে বুগ্রেইনে (সিরতের ১৩৫ কিমি পশ্চিমে) গেছিলাম। বিকালে ফেরার সময় সিরতের পঞ্চাশ কিমি দূরের খামসিনের চেক পয়েন্ট থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। সিরতে ঢুকতে দেয়নি। শুধু আমাদেরকে না, কাউকেই সিরতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। চেকপয়েন্টের মিলিশিয়ারা বলছে, সিরতে ঢুকা তো যাবেই না, বরং যারা ভেতরে আছে, তাদেরকেও সিরত থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।

Continue reading আইএসের শহরে জীবন যাপন

জোরপূর্বক ধর্মান্তর


সিরতের বেশ কিছু অমুসলমান বিদেশী গত কয়েকদিনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশীও আছে। গতকালও একজন বাংলাদেশী হিন্দু মুসলমান হয়ে গেছে। এম্বাসী থেকে সিরতের অমুসলমান বাংলাদেশীদের একটা তালিক তৈরি করে পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়ার পর খোঁজ খবর নিতে গিয়ে দেখছি, বাকি যেসব হিন্দু আছে, তাদের অনেকেও মুসলমান হয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।

Continue reading জোরপূর্বক ধর্মান্তর

আইএসের দখলে আমাদের শহর


গত প্রায় দেড়-দুই বছর ধরেই সিরত আনসার আশ্‌শারীয়ার অধীনে ছিল। কিন্তু গত দুই-তিন ধরে সিরত আনঅফিশিয়ালি একেবারে সরাসরি দায়েশ তথা ইসলামিক স্টেটের একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আইএসরা বৃহস্পতিবার সিরতের প্রধান রেডিও স্টেশন দখল করে নিয়েছে। এবং সেখান থেকে নিয়মিত সিরতের মানুষকে সকল অনৈসলামিক কর্মকান্ড পরিহার করে ইসলামিক স্টেটের খলিফা আবুবকর আল বাগদাদীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

রাস্তাঘাটে এখনও আইএস এর কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু ধীরে ধীরে সবগুলো ইনস্টিটিউশন তারা দখল করে নিচ্ছে। বুধবার থেকে সিরতের পাসপোর্ট অফিসও (জাওয়াজাত) আইএস এর দখলে। তারা সিরতের ওয়াগাদুগো কনফারেন্স সেন্টারও দখলে নিয়েছে এবং সেখানে একটা ইসলামিক আদালত প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিয়েছে।

Continue reading আইএসের দখলে আমাদের শহর

একটি দায়েশীয় কৌতুক


একটি দায়েশ (আইএস) বিষয়ক কৌতুক। লিবিয়ান একটা গ্রুপে পেলাম।

আইএস তিনজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। একজন মিসরী, একজন সুদানী এবং একজন লিবিয়ান।

প্রথমেই তারা মিসরীকে তার নাম জিজ্ঞেস করল। মিসরী উত্তর দিল, ইয়াসিন। আইএস এবার তাকে সূরা ইয়াসিন মুখস্ত বলতে বলল। বেচারা বলতে পারল না। সাথে সাথে আইএস তাকে জবাই করে হত্যা করল।

এরপর তারা সুদানীকে তার নাম জিজ্ঞেস করল। সুদানীর নাম ইউসুফ। যথারীতি তাকেও সূরা ইউসুফ বলতে বলা হল। না পারায় তাকেও জবাই করে হত্যা করা হল।

এবার তারা ফিরল লিবিয়ানের দিকে। কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই লিবিয়ানটা ঝটপট বলে উঠল, ভাই আমার নাম কাওসার 🙂

প্রথম লেখা: ৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ফেসবুকে

লিবিয়ার মাদখালি সালাফিদের প্রকারভেদ


মাদখালি সালাফিরা সম্ভবত ওয়ার্স্ট কাইন্ড অফ ইসলামিস্টস। ব্যাখ্যার দরকার নাই, সৌদি আলেমদের দিকে তাকালেই ব্যাপারটা বোঝা যায়। এরা মনে করে, প্রেসিডেন্ট, তাদের ভাষায় ওয়ালি আল-আম্‌র, যতই অন্যায় করুক, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা যাবে না, যদি না তার বিরুদ্ধে স্পষ্ট কুফরের প্রমাণ পাওয়া যায়। বিশ্বব্যাপী মুসলমান রাষ্ট্রগুলোর স্বৈরশাসকদের কাছে এরা যে ভীষণ প্রিয় হবে, তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে?

বেনগাজীর মাদখালি সালাফিদের কথা বলি। সেখানে ডিফ্যক্টো ক্ষমতায় জেনারেল খলিফা হাফতার। এক সময়ের সিআইএ এজেন্ট, বর্তমানে অবশ্য রাশিয়াপন্থী। প্রচন্ড রকমের অ্যান্টি-ইসলামিস্ট। সেখানকার সবগুলো ইসলামিস্ট গ্রুপ হাফতারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। একমাত্র ব্যতিক্রম মাদখালি সালাফিরা। তারা তাদের ‘ওয়ালি আল-আমর’ হাফতারের অধীনস্থ থেকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল শাসণ করে যাচ্ছে।

Continue reading লিবিয়ার মাদখালি সালাফিদের প্রকারভেদ