লিবিয়ানরা একইসাথে আফ্রিকান এবং আরব। ভৌগলিক দিক থেকে তারা আফ্রিকান, ভাষা/জাতিগত দিক থেকে আরব। কিন্তু নিজেদেরকে তারা আরব ভাবতেই বেশি পছন্দ করে।
দৈনন্দিন কথাবার্তায় তারা আফ্রিকানদেরকে এমনভাবে “আফারেক” (আরবিতে আফ্রিকানের বহুবচন) বলে সম্বোধন করে, যাতে মনে হয় তারা নিজেরা আফ্রিকান না। আফারেক শব্দটা এখানে অধিকাংশ সময়ই তুচ্ছার্থে ব্যবহৃত হয়।
সিরতে আইএস এর সাথে মিসরাতী মিলিশিয়াদের সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। সকালে বুগ্রেইনে (সিরতের ১৩৫ কিমি পশ্চিমে) গেছিলাম। বিকালে ফেরার সময় সিরতের পঞ্চাশ কিমি দূরের খামসিনের চেক পয়েন্ট থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। সিরতে ঢুকতে দেয়নি। শুধু আমাদেরকে না, কাউকেই সিরতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। চেকপয়েন্টের মিলিশিয়ারা বলছে, সিরতে ঢুকা তো যাবেই না, বরং যারা ভেতরে আছে, তাদেরকেও সিরত থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।
এমনিতে আমি ভূতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু ভূতকে প্রচন্ডরকম ভয় পাই ঠিকই। একা হলে তো কথাই নাই, ঘরভর্তি মানুষ থাকলেও রাতের বেলা বাথরুমে যাওয়ার সময় দুনিয়ার যত্তো হরর মুভি, ভূতের গল্প আর ভয়ের স্বপ্ন, সবকিছু একসাথে মনে পড়ে যায়। বাথরুম থেকে ফিরে এসেও শান্তিমতো ঘুমাতে পারি না। দেয়ালের সাথে পিঠ ঘেঁষে ঘুমাতে হয়, উল্টাদিক ফিরলেই মনে হয় পিছনে “কিছু” একটা আছে! এই বুঝি কিছু একটা নড়ে উঠল!
আমাদের ছোটকালে দেখতাম ভাইবোনদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হলে একজন আরেকজনকে ধমক দিত, আব্বুকে বলে দিব। অথবা বড়জোর বলত, থাপড়িয়ে গালের দাঁত সব ফেলে দিব। কিন্তু এই যুগে সব কিছুরই পরিবর্তন ঘটছে।
গতকাল এক লিবিয়ান ফ্রেন্ডের বাসার সামনে বসে বসে আড্ডা মারছি, এমন সময় দেখি সামনে দিয়ে দুই ভাই হেঁটে যাচ্ছে। বড়টার বয়স বারো-তেরো আর ছোটটার বয়স পাঁচ-ছয় বছর হবে। ছোটটা কিছু একটা নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করছিল। তো বড়টা বলল, “ওস্কত্! ওস্কত্! ক্যান মা তোস্কত্শ, তাউয়া আন্-ফার্রাগ ফিক!” অর্থাত্! চুপ! চুপ! চুপ না করলে দিব গুলি করে 🙂 শুনে পিচ্চিটা ভয়ে একেবারে ভ্যাঁ করেই কেঁদে দিল!
আমার দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে একটু ভাষা বিষয়ক প্যাচাল পাড়ি। একটা প্রশ্ন দিয়েই শুরু করি। মনে করুন আপনি কাউকে তার পরীক্ষার ফলাফল জিজ্ঞেস করলেন, “পাশ করেছ?” উত্তরে সে যদি বলে “ইনশাআল্লাহ্”, তাহলে আপনি কি বুঝবেন? সে কি পাশ করেছে, নাকি ভবিষ্যতে পাশ করার আশা আছে?