নন লিনিয়ার টাইমলাইন হল যেখানে সিনেমার কাহিনী সরলগতিতে এগোয় না। অথবা বলা যায়, যেখানে সিনেমার দৃশ্য পরম্পরা বাস্তবের ঘটনার পরম্পরা অনুসরণ করে না। আগের ঘটনা পরে, পরের ঘটনা আগে এভাবে দেখানো মিলিয়ে-মিশিয়ে দেখানো হয়। এ ধরনের মুভির সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল, এতে কাহিনী এমন জটিলভাবে সাজানো যায়, যে পুরো মুভি জুড়ে শেষের ঘটনাগুলো সম্পর্কে কিছু কিছু আভাস দিয়ে আকর্ষণও তৈরি করা যায়, আবার মূল রহস্যটা একেবারে শেষ দৃশ্যে এসে উন্মোচিত করা যায়। ফলে পুরো সিনেমাজুড়েই সিনেমাটা দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারে।
Tag Archives: হলিউড মুভি
All The President’s Men – (সৎ ও সাহসী সাংবাদিকের এক অসৎ প্রেসিডেন্টকে ধুলিস্যাৎ করে দেবার গল্প)
পলিটিক্যাল থ্রিলার মুভিগুলো আমার দারুণ পছন্দের। আর সেটা যদি সত্য কাহিনী অবলম্বনে হয়, তা হলে তো কথাই নেই। অল দ্যা প্রেসিডেন্টস মেন (All The President’s Men) সেরকমই একটা মুভি। দুই দুঃসাহসী সাংবাদিক কি অসাধারণ দক্ষতা এবং সাহসিকতার সাথে ওয়াটারগেট ক্যালেংকারির পেছনের ঘটনা উন্মোচিত করে শেষ পর্যন্ত আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে, সেই কাহিনীর সফল চিত্রায়ন এই মুভিটি। বলা যায় এই ক্যাটাগরির এটাই সেরা মুভি।
স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন – ভিন্নস্বাদের সুন্দর একটি মুভি
কিছু কিছু ফিল্ম আছে যেগুলো খুবই দারুণ, কিন্তু শুরুটা হয়তো ভীষণ বোরিং। প্রথম ত্রিশ-চল্লিশ মিনিট হয়তো জোর করে ঝিমুতে ঝিমুতে দেখতে হয়, তারপরেই মূল ইন্টারেস্টটা শুরু হয়। কিন্তু স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন এমন একটা ফিল্ম যেটা একেবারে প্রথম দৃশ্য, প্রথম ডায়লগ থেকেই ইন্টারেস্টিং। এই মুভির মূল থীম হচ্ছে ইন্টারকানেকটিভিটি। মুভির মূল চরিত্র হ্যারল্ড ক্রীক নামের এক মাঝ বয়েসী একজন আইআরএস অডিটর। তার কাজকর্ম নিঁখুত সংখ্যা নিয়ে বলেই সম্ভবত সে অত্যন্ত গতানুগতিক, নিয়মানুবর্তী এবং সময়ানুবর্তী জীবন যাপন করে। তার এই নিয়ামুবর্তী জীবন যাপনের একটা উদাহরণ হল, গত ১২ বছর ধরে সে প্রতিদিন সকাল বেলা তার ৩২টি দাঁত ৭৬ বার করে ব্রাশ করে আসছে – ৩৮ বার আড়াআড়ি এবং ৩৮ বার উপর-নিচে। কিন্তু তার এই সাজানো গোছানো জীবন সম্পূর্ণ ওলট পালট হয়ে যায় এক সকালে, যখন সে শুনতে পায় কেউ একজন তার জীবন যাপন হুবহু বর্ণনা করে চলছে।
Continue reading স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন – ভিন্নস্বাদের সুন্দর একটি মুভি
আরও এক ডজন অসাধারণ কোর্টরুম ড্রামা
এর আগের পোস্টে এক ডজন অসাধারণ কোর্টরুম ড্রামার বিস্তারিত রিভিউ দিয়েছিলাম। সেগুলো ছাড়াও আমার দেখা আরো এক ডজন মুভির অতি-সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিলাম এখানে, যাদের সবগুলোকে হয়তো ঠিক কোর্টরুম ড্রামা বলা যাবে না, কিন্তু এইসব মুভিতে বিচারকার্যের একটা বড় ভূমিকা আছে।
এক ডজন অসাধারণ কোর্টরুম ড্রামা
কোর্টরুম ড্রামা হল সেই ধরনের মুভি যার একটা প্রধান অংশ আবর্তিত হয় কোর্টকে কেন্দ্র করে। তবে সব সময়ই যে সেটা কোর্টরুমের ভেতরেই হতে হবে এমন কোন কথা নেই। সেটা জুরি রুম কেন্দ্রিকও হতে পারে, আবার অ্যাটর্নির অফিস কেন্দ্রিকও হতে পারে। অর্থাত্ এ ধরনের মুভির কাহিনী বিচার ব্যবস্থার কোন একটি অংশকে হাইলাইট করে। এই ধরনের মুভির আরও কয়েকটি নাম আছে। যেমন, ট্রায়াল মুভি, লীগ্যাল ড্রামা ইত্যাদি।
ভয়াবহ একটা সিনেমা : স (SAW)
Saw সিনেমাটার নাম প্রথমে শুনেছিলাম সম্ভবত প্রজন্ম ফোরামের আহমাদ মুজতবার মুখে। তখন সবেমাত্র Saw V রিলিজ পেয়েছে। অন্য কোন ভালো সিনেমার লিংক না পাওয়াতে একদিন কি মনে করে সেটাই ডাউনলোড দিয়ে দিলাম। যথাসময়ে ডাউনলোডও হল। দেখতে বসলাম। আগের পর্ব গুলো না দেখায় কাহিনীর মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলাম না। বরং কাটাকাটি, রক্তপাত সবমিলিয়ে যে ভয়াবহ দৃশ্য, সেটা দেখে আমার বমি আসার মতো অবস্থা।
কুকুর দিবস অপরাহ্ন
ইংলিশ সিনেমা আমার বলতে গেলে দেখাই হয় নি। টাইটানিক, ট্রয়, স্পার্টাকাস, চার্লিজ অ্যাঞ্জেলস, স্পাইডারম্যান টু, মিস্টার বিনের জনি ইংলিশ, জিম ক্যারির ব্রুস অলমাইটি – এই তো! সম্প্রতি প্রজন্ম ফোরামের আহমাদ মুজতবার কাছ থেকে ফাটাফাটি কিছু মুভি ডাউনলোড করার সাইট পাওয়ার পর থেকেই আবার ইংলিশ সিনেমা দেখার জন্য মনটা ছটফট করছিল। সাইটগুলোতে গিয়ে সাথে সাথেই দ্যা ম্যাট্রিক্স (The Matrix) সিনেমাটা ডাউনলোড দিয়ে দিয়েছিলাম। Continue reading কুকুর দিবস অপরাহ্ন