Tag Archives: আরব বসন্ত

মুরসিকে নিয়ে বইয়ে আমার দুটি লেখা


একটা আনন্দের সংবাদ দেই। মোহাম্মদ মুরসিকে নিয়ে “প্রচ্ছদ প্রকাশন” থেকে বের হওয়া “প্রেসিডেন্ট মুরসি: আরব বসন্ত থেকে শাহাদাত” বইটিতে আমার দুটি লেখা স্থান পেয়েছে।

এর মধ্যে একটি লেখা হয়তো অনেকেই পড়েছেন, মুরসির মৃত্যুর পর ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম, প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুরসির অভিষেকের দিনটি নিয়ে একটা লেখার অনুবাদ। সেটা পড়তে পারেন এই লিঙ্ক থেকেও। এটি ছাড়াও বইটিতে আমার আরেকটি লেখাও আছে।

বইটিতে মোট ১৬টি লেখা আছে, মৌলিক এবং অনুবাদ মিলিয়ে। সূচিপত্র থেকে অনুবাদকদের নাম দেখা যাচ্ছে না, মৌলিক লেখকদের দুজন পরিচিত লেখক আছেন – ডঃ আব্দুস সালাম আজাদী এবং ফেসবুকে জনপ্রিয় রাজনৈতিক লেখক মোহাম্মদ নোমান ভাই।

বইটি পাওয়া যাবে এই মাসের ১০ তারিখ থেকে। তবে প্রচ্ছদ প্রকাশনের এই লিঙ্ক থেকে এখনই প্রি-অর্ডার করে রাখতে পারবেন। বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা ১০৪। মূল্য ১৮০ টাকা।

কেউ যদি পড়েন, অবশ্যই মতামত জানাতে ভুলবেন না।

মোহাম্মদ মুরসির অভিষেক


প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মুরসির অভিষেক অনুষ্ঠানটি তার জন্য এর চেয়ে বেশি অপমানজনক হওয়া সম্ভব ছিল না।

নির্বাচনের দিন রাতে মুরসি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তিনি বিলুপ্ত পার্লামেন্টকে পুনর্বহাল করবেন এবং সেই পার্লামেন্টের সামনেই শপথ গ্রহণ করবেন। কিন্তু মিলিটারি কাউন্সিল তাকে তার প্রতিজ্ঞা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে।

অভিষেক অনুষ্ঠানের পূর্বে দুইজন জেনারেল টেলিভিশনে এক যৌথ বিবৃতিতে প্রতিজ্ঞা করে, সামরিক বাহিনী সর্বদাই ব্যাপক ক্ষমতা সহকারে সরকারের পেছনে থেকে “বিশ্বস্ত অভিভাবক” হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাবে।

এই ব্লগটি এখন থেকে আর আপডেট করা হবে না। আমার সবগুলো নতুন লেখা পাবেন এখানে – https://www.mhtoha.com/

Continue reading মোহাম্মদ মুরসির অভিষেক

কোনো ঘটনায় যে লাভবান, সেই কি দায়ী?


কোনো ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, সেটা বোঝার একটা উপায় হচ্ছে ঐ ঘটনায় কারা লাভবান হচ্ছে, সেটা লক্ষ্য করা।

কিন্তু এই পদ্ধতি কোনো ফুলপ্রুফ পদ্ধতি না। কারণ একই ঘটনায় একাধিক পক্ষ লাভবান হতে পারে। একজনের লাভের গুড় অন্য কেউও খেতে পারে। আবার আমরা যেটাকে স্বল্পকালীন লাভ মনে করছি, কোনো পক্ষ হয়তো সেটাকেই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি মনে করতে পারে।

Continue reading কোনো ঘটনায় যে লাভবান, সেই কি দায়ী?

ম্যারি কোলভিনের প্রাইভেট ওয়ার


ফিচার ইমেজে গাদ্দাফীর সাথে ম্যারি কোলভিনের যে দৃশ্যটা দেখা যাচ্ছে, সেটা বাস্তবের না, A Private War সিনেমার। তবে বাস্তবেও সানডে টাইমসের সাংবাদিক ম্যারি কোলভিন গাদ্দাফীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। একবার না, একাধিক বার।

১৯৮৬ সালে রিগ্যান প্রশাসন যখন লিবীয় নেতা মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসভবনের উপর বিমান হামলা (অপারেশন এল-ডোরাডো ক্যানিয়ন) পরিচালনা করে, তখন ম্যারি কোলভিনই ছিলেন প্রথম সাংবাদিক, যিনি গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।

বাস্তবে গাদ্দাফীর সাথে ম্যারি কোলভিন; Image Source: BBC

পরবর্তীতে ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পরেও গাদ্দাফির প্রথম সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি। ইনফ্যাক্ট গাদ্দাফী প্রশাসন ম্যারি কোলভিনের রিকোয়েস্টে সাড়া দিয়ে মোট তিনজন সাংবাদিককে গাদ্দাফীর সাথে সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেয়। বাকি দুইজন সাংবাদিক কারা হবেন, সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তারা ম্যারির উপরেই ছেড়ে দেয়।

Continue reading ম্যারি কোলভিনের প্রাইভেট ওয়ার

গণমানুষের নেতা গাদ্দাফী যেভাবে স্বৈরশাসক হলেন


সত্তরের দশকের গাদ্দাফী ছিল সত্যিকার অর্থেই জনগণের নেতা। সে সময় প্রায় প্রতিদিন গাদ্দাফী রাস্তায় বের হতো। একা, কোনো বডিগার্ড ছাড়া। সে সময় ত্রিপলীতে থাকা বাংলাদেশীদের অনেকেও গাদ্দাফীকে সরাসরি দেখেছে। কোনো অনুষ্ঠানে না, হঠাৎ কোনো রাস্তায়।

নিজের ফোক্স ওয়াগন গাড়িটা নিয়ে গাদ্দাফী একেক দিন একেক জায়গায় চলে যেত। কোনো স্কুলে, ইউনিভার্সিটিতে, মার্কেটে, হসপিটালে, ব্যাংকে। অথবা জনগণের ভীড়ে, ত্রিপলীর আশেপাশের কোনো গ্রামে। গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে মিশত, কথা বলত, তাদের মতামত জানতে চাইত।

Continue reading গণমানুষের নেতা গাদ্দাফী যেভাবে স্বৈরশাসক হলেন

গুজব কেন আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর


গুজব সাধারণত তিন পক্ষ ছড়ায়। অতি উৎসাহী পক্ষ, বেকুব পক্ষ এবং সরকারী পক্ষ। তিনটাই আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর।

এ জন্য আমি সব সময়ই গুজবের বিরুদ্ধে। গুজব অধিকাংশ সময়ই ভালো ফলাফল বয়ে আনে না। অ্যাজ এ মেম্বার অফ অতি উৎসাহী পক্ষ, আপনি হয়তো মনে করতে পারেন, গুজব ছড়িয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে দিব। কখনো কখনো হয়তো এ পদ্ধতিতে সফল হওয়া সম্ভব, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা ব্যাকফায়ার করার সম্ভাবনাই বেশি।

Continue reading গুজব কেন আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর

বাশার আল-আসাদরা কখনো হার স্বীকার করে না!


বাশার আল-আসাদরা কখনো হার স্বীকার করে না। দাবি করা হয়, দেরা’তে যখন স্কুলের বাচ্চারা তার বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন লিখেছিল, তখন নাকি বাশারের মুখাবারাত সেই ছাত্রদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল, দিনের পর দিন হাত বেঁধে ছাদ থেকে ঝুলিয়ে রেখেছিল, প্লায়ার্স দিয়ে তাদের নখ টেনে উপড়ে ফেলেছিল।

দেশপ্রেমিক জনগণ অবশ্য এগুলো বিশ্বাস করে না। তারা জানে এগুলো মিথ্যা, ষড়যন্ত্র। জনগণের কিছু দাবি মেনে নিলেই যেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব, তখন বাশার কেন বোকার মতো এই কাজ করতে যাবে? আর তাছাড়া কোনো দেশের সরকার প্রধান, যতোই খারাপ হোক, নিজ দেশের সাধারণ জনগণের উপর, স্কুলের ছাত্রদের উপর আক্রমণ করে রক্তাক্ত করা কি কখনো সম্ভব? সম্ভব?

Continue reading বাশার আল-আসাদরা কখনো হার স্বীকার করে না!

গাদ্দাফীর সাথে সারকোজির প্রতারণা


নিকোলাস সারকোজি পুলিশ কাস্টডিতে। ইলেকশন ক্যাম্পেইনের জন্য গাদ্দাফীর কাছ থেকে ফান্ডিং নেওয়ার অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

২০০৭ সালের নির্বাচনে ক্যাম্পেইনের জন্য গাদ্দাফী সারকোজিকে ৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল। বলা যায় গাদ্দাফী নিজ হাতে সারকোজিকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। অথচ সেই সারকোজি বলতে গেলে একক প্রচেষ্টায় গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে জাতিসংঘে হামলার অনুমোদন করায় এবং তা পাশ হতে না হতেই বিমান হামলা শুরু করে।

Continue reading গাদ্দাফীর সাথে সারকোজির প্রতারণা

ইরাক আক্রমণের দিনই কেন লিবিয়ায় আক্রমণ?


১৯ মার্চ। ১৫ বছর আগের এই দিনে শুরু হয়েছিল ইরাক আক্রমণ, আর ৭ বছর আগে একই দিনে শুরু হয়েছিল লিবিয়া আক্রমণ।

বছরে ৩৬৫টা দিন থাকতে ঠিক একই দিনে কীভাবে মধ্যপ্রাচ্যের দুইটা প্রধান যুদ্ধ শুরু হলো? কাকতালীয়? না ষড়যন্ত্র?

Continue reading ইরাক আক্রমণের দিনই কেন লিবিয়ায় আক্রমণ?

১৭ই ফেব্রুয়ারির বিপ্লব: গাদ্দাফীর পতনের জানা-অজানা ‌অধ‍্যায়


২০১১ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি। আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় সেদিন লিবিয়াতেও শুরু হয়েছিল গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, যার ধারাবাহিকতায় আট মাস পর পতন ঘটে বেয়াল্লিশ ধরে ক্ষমতায় থাকা লৌহ মানব মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফীর। কিন্তু ঠিক কী কারণে, কীভাবে শুরু হয়েছিল এ বিদ্রোহ? আর ঠিক কীভাবেই পতন হয়েছিল গাদ্দাফীর? সেই ইতিহাসই তুলে ধরলাম এ লেখায়। লেখাটি মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

Continue reading ১৭ই ফেব্রুয়ারির বিপ্লব: গাদ্দাফীর পতনের জানা-অজানা ‌অধ‍্যায়