পত্রপত্রিকায় বা ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা দেখা যায় আমেরিকার বিরুদ্ধে। এর একটা কারণ তো পরিষ্কার – আমেরিকা আসলেই বিশ্বের নাম্বার ওয়ান কালপ্রিট। তা না হলে তারা তাদের সুপার পাওয়ার মেইন্টেইন করতে পারত না।
কিন্তু আমেরিকা বিরোধিতার এটাই একমাত্র কারণ না। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, পাবলিক আমেরিকা বিরোধিতা বেশি খায়। সেজন্য দেখা যায় যারা আসলে আমেরিকা বিরোধী না, বা ইনফ্যাক্ট যারা নিজেরাই আমেরিকার পাপেট, তারাও প্রকাশ্যে প্রচন্ড আমেরিকা বিরোধী সাজে এবং পাবলিকের মন জয় করার জন্য অন্যদেরকে আমেরিকাপন্থী, বা যেকোনো অপরাধকে আমেরিকার ষড়যন্ত্র হিসেবে দাবি করতে থাকে।
কোনো ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, সেটা বোঝার একটা উপায় হচ্ছে ঐ ঘটনায় কারা লাভবান হচ্ছে, সেটা লক্ষ্য করা।
কিন্তু এই পদ্ধতি কোনো ফুলপ্রুফ পদ্ধতি না। কারণ একই ঘটনায় একাধিক পক্ষ লাভবান হতে পারে। একজনের লাভের গুড় অন্য কেউও খেতে পারে। আবার আমরা যেটাকে স্বল্পকালীন লাভ মনে করছি, কোনো পক্ষ হয়তো সেটাকেই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি মনে করতে পারে।
বাস চালকের জবানবন্দী পড়ে আমি আবেগে অভিভূত হয়ে গেলাম। আমার চোখ দিয়ে নিজের অজান্তেই ঝর ঝর করে পানি পড়তে লাগল। মানবতা এখনও বেঁচে আছে, হারিয়ে যায়নি!
ভেবে দেখেন, সবগুলো পত্রিকায় গত এক সপ্তাহে এসেছে, এটা ছিল বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা। চালক ইচ্ছে করে বাচ্চাদের উপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে তাদেরকে খুন করেছে, এটা কেউ দাবি করেনি। চালক যদি নিজ মুখে স্বীকার না করত, তাহলে সেটা প্রমাণ করারও কোনো উপায় ছিল না। আর এরকম ক্ষেত্রে সাধারণত কেউ স্বীকারও করে না। ঠিক এ ধরনের কেসে কয়টা এরকম স্বীকারোক্তি শুনেছেন?
গুজব সাধারণত তিন পক্ষ ছড়ায়। অতি উৎসাহী পক্ষ, বেকুব পক্ষ এবং সরকারী পক্ষ। তিনটাই আন্দোলনের জন্য ক্ষতিকর।
এ জন্য আমি সব সময়ই গুজবের বিরুদ্ধে। গুজব অধিকাংশ সময়ই ভালো ফলাফল বয়ে আনে না। অ্যাজ এ মেম্বার অফ অতি উৎসাহী পক্ষ, আপনি হয়তো মনে করতে পারেন, গুজব ছড়িয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে দিব। কখনো কখনো হয়তো এ পদ্ধতিতে সফল হওয়া সম্ভব, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা ব্যাকফায়ার করার সম্ভাবনাই বেশি।
‘ফেইক নিউজ’ শব্দটি সাম্প্রতিক সময়ের আবিষ্কার হলেও বাস্তবে সংবাদপত্রে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন নতুন কিছু না। যুগ যুগ ধরেই গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এবং সর্বোপরি সর্বস্তরে ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য হওয়ায় ফেইক নিউজ যেন মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তো ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার পেছনে প্রথমে রাশিয়ান ফেইক নিউজের প্রভাব এবং এরপর কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে গেছে! তবে সব রোগেরই যেমন ওষুধ আছে, তেমনি ফেইক নিউজের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফ্যাক্ট চেকিংয়ের বিভিন্ন সাইট।
গুজবটা শুরু হয়েছিল আরো বছর খানেক আগে৷ অনেকেই হয়তো সেই সময় mobile phone fries your brain শিরোণামে একটা ই-মেইল পেয়ে থাকবেন৷ এই ই-মেইলের মূল বিষয় ছিল মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভয়াবহতা৷ ই-মেইলটাতে দাবি করা হয়েছিল যে, দুটো মোবাইল ফোনকে মুখোমুখি করে তাদের মাঝে একটা ডিম যদি এমনভাবে রাখা হয়, যেন ফোনদুটো ডিমটাকে দুইদিক থেকে স্পর্শ করে থাকে Continue reading মোবাইল ফোন দিয়ে ডিম সিদ্ধ!→