প্রিয় ভিজিটর,
এই ব্লগটি এখন থেকে আর আপডেট করা হবে না। আমার সব লেখা পাবেন আমার নতুন ওয়েবসাইট https://www.mhtoha.com/ ঠিকানায়।
ধন্যবাদ।
প্রিয় ভিজিটর,
এই ব্লগটি এখন থেকে আর আপডেট করা হবে না। আমার সব লেখা পাবেন আমার নতুন ওয়েবসাইট https://www.mhtoha.com/ ঠিকানায়।
ধন্যবাদ।
২০১১ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি। আরব বসন্তের ধারাবাহিকতায় সেদিন লিবিয়াতেও শুরু হয়েছিল গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে আন্দোলন, যার ধারাবাহিকতায় আট মাস পর পতন ঘটে বেয়াল্লিশ ধরে ক্ষমতায় থাকা লৌহ মানব মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফীর। কিন্তু ঠিক কী কারণে, কীভাবে শুরু হয়েছিল এ বিদ্রোহ? আর ঠিক কীভাবেই পতন হয়েছিল গাদ্দাফীর? সেই ইতিহাসই তুলে ধরলাম এ লেখায়। লেখাটি মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
Continue reading ১৭ই ফেব্রুয়ারির বিপ্লব: গাদ্দাফীর পতনের জানা-অজানা অধ্যায়
আব্দুর রাজ্জাক আল-রিয়ানী একজন লিবিয়ান চিত্রশিল্পী। সম্ভবত লিবিয়ার সেরা চিত্রশিল্পীদের মধ্যে একজন। অন্তত আমার কাছে তার আঁকা প্রতিটি ছবিই অসাধারণ মনে হয়। ক্যানভাসের উপর তেল রঙে আঁকা তার একেকটি ছবিতে জীবন্ত হয়ে ফুটে ওঠে লিবিয়ার মানুষজন, ঘরবাড়ি এবং আসবাবপত্র।
আব্দুর রাজ্জাক আল-রিয়ানীর জন্ম ত্রিপলী, লিবিয়াতে। ১৯৯১ সালে ত্রিপলী ইউনিভার্সিটি (তৎকালীন আল-ফাতাহ ইউনিভার্সিটি) থেকে চারুকলারয় স্নাতক অর্জন করেন। এরপর ২০০৫ সালে ইতালির রোম ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন আর্টস থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন আর্টসের উপর পিএইচডি করছেন। লিবিয়া ছাড়াও মাল্টা, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তার চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়েছে।
Continue reading মুগ্ধ হওয়ার মতো অসাধারণ কিছু লিবিয়ান চিত্রকর্ম
মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফীর গুণগান সম্বলিত একটি ভাইরাল লিস্ট পাওয়া যায় ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে, যেখানে গাদ্দাফীর সময়ে লিবিয়ানরা কত সুখে-শান্তিতে ছিল, সেটি বোঝানোর জন্য ১০টি বা ১২টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়। লিস্টটি অত্যন্ত জনপ্রিয়, দুদিন পরপরই কেউ না কেউ এটি শেয়ার করে, এবং অবধারিতভাবে আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডদের কেউ না কেউ আমাকে সেখানে ট্যাগ করে এর সত্যতা জানতে চায়। অনেক দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত এর সত্যতা যাচাইমূলক একটি লেখা লিখেই ফেললাম।
Continue reading গাদ্দাফীর শাসণামলের ১০টি ফ্যাক্ট: সত্য না মিথ্যা?
১৫ই অক্টোবর ২০১১।
সারাদিন প্রচন্ড যুদ্ধ চলল। সন্ধ্যার সময় যখন গোলাগুলির আওয়াজ কমে এল, তখন আমাদের বাসা থেকে ছয়-সাতশো মিটার দূরে অবস্থিত রমজান আংকেলদের এলাকা থেকে হঠাৎ আল্লাহু আকবার শ্লোগান শোনা যেতে লাগল। আমাদের বুকের মাঝে রক্ত যেন ছলকে উঠল। তারমানে কি বিদ্রোহীরা আরও এগিয়ে আসছে? যুদ্ধ কি শেষ হয়ে আসছে? মাগরিবের ওয়াক্তের প্রায় বিশ মিনিট পরে যুদ্ধ পুরাপুরি থামল এবং ঘরে আসার পর দীর্ঘ তিন সপ্তাহের মধ্যে এই দিন আমরা প্রথম কোন আজান শুনতে পেলাম। মাগরিব এবং এশার মধ্যবর্তী সময়টাতেও আল্লাহু আকবার শ্লোগান শোনা যেতে লাগল। বিদ্রোহীদের দুঃসাহস দেখে আমরা হতবাক হয়ে গেলাম। কারণ আমাদের বাসার ঠিক পেছনেই তখনও গাদ্দাফী বাহিনী অবস্থান করছিল।
Continue reading লিবিয়া যুদ্ধে আমি (৬ষ্ঠ পর্ব): দ্বিতীয় জীবন
কোর্টরুম ড্রামা হল সেই ধরনের মুভি যার একটা প্রধান অংশ আবর্তিত হয় কোর্টকে কেন্দ্র করে। তবে সব সময়ই যে সেটা কোর্টরুমের ভেতরেই হতে হবে এমন কোন কথা নেই। সেটা জুরি রুম কেন্দ্রিকও হতে পারে, আবার অ্যাটর্নির অফিস কেন্দ্রিকও হতে পারে। অর্থাত্ এ ধরনের মুভির কাহিনী বিচার ব্যবস্থার কোন একটি অংশকে হাইলাইট করে। এই ধরনের মুভির আরও কয়েকটি নাম আছে। যেমন, ট্রায়াল মুভি, লীগ্যাল ড্রামা ইত্যাদি।
দেখলাম ফারুকীর পিঁপড়াবিদ্য। অসাধারণ কিছু না হলেও ভালোই লেগেছে। অন্তত আর দশটা বাংলা সিনেমা থেকে তো অবশ্যই ভালো। যেই দেশে তারেক মাসুদ নাই, সেই দেশে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করাটাও বোকামি। গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু বাংলা সিনেমা আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত সুন্দর পোস্টার আর দুই একটা গান ছাড়া কিছু দিতে পারে নি। সেই বিবেচনায় পিঁপড়াবিদ্যা অন্তত বাস্তব জীবনের একটা দিকে আলোকপাত করেতে পেরেছে, কিছুটা চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে।