পত্রপত্রিকায় বা ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা দেখা যায় আমেরিকার বিরুদ্ধে। এর একটা কারণ তো পরিষ্কার – আমেরিকা আসলেই বিশ্বের নাম্বার ওয়ান কালপ্রিট। তা না হলে তারা তাদের সুপার পাওয়ার মেইন্টেইন করতে পারত না।
কিন্তু আমেরিকা বিরোধিতার এটাই একমাত্র কারণ না। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, পাবলিক আমেরিকা বিরোধিতা বেশি খায়। সেজন্য দেখা যায় যারা আসলে আমেরিকা বিরোধী না, বা ইনফ্যাক্ট যারা নিজেরাই আমেরিকার পাপেট, তারাও প্রকাশ্যে প্রচন্ড আমেরিকা বিরোধী সাজে এবং পাবলিকের মন জয় করার জন্য অন্যদেরকে আমেরিকাপন্থী, বা যেকোনো অপরাধকে আমেরিকার ষড়যন্ত্র হিসেবে দাবি করতে থাকে।
‘ফেইক নিউজ’ শব্দটি সাম্প্রতিক সময়ের আবিষ্কার হলেও বাস্তবে সংবাদপত্রে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন নতুন কিছু না। যুগ যুগ ধরেই গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এবং সর্বোপরি সর্বস্তরে ইন্টারনেট ব্যবহার সহজলভ্য হওয়ায় ফেইক নিউজ যেন মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তো ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার পেছনে প্রথমে রাশিয়ান ফেইক নিউজের প্রভাব এবং এরপর কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে গেছে! তবে সব রোগেরই যেমন ওষুধ আছে, তেমনি ফেইক নিউজের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফ্যাক্ট চেকিংয়ের বিভিন্ন সাইট।